Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পাওয়ার রহস্য জানাল ছাত্রী

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ০৯:২৯ এএম

উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পাওয়ার রহস্য জানাল ছাত্রী

ভারতের কলকাতায় এবার উচ্চমাধ্যমিকে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা স্রোতশ্রী রায়।


তার এ কৃতীত্বপূর্ণ ফলাফলের রহস্য আর কিছুই না, মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকা আর মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করা।খবর আনন্দবাজারের।
 

এ যেন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।মাধ্যমিকে ভালো ফল করার পর, নতুন মোবাইল পেয়েছিল মেধাবী ছাত্রী স্রোতশ্রী রায়। 


তার পর সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে কখনও ফেসবুক, কখনও হোয়াটস্অ্যাপ।কখনও আবার অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মগ্ন হয়ে থাকত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লসের এই কৃতী ছাত্রী। 


এমনকি মোবাইলের সঙ্গে ১২ ঘণ্টাও কেটে যেত কখনও কখনও। টেস্ট পরীক্ষার ফল যথারীতি খারাপ।সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো।সেই মোবাইলকে জীবন থেকে আলাদা করতেই একেবারে সেরার সেরা সে। উচ্চমাধ্যমিকে পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ নম্বর!


তার এই মোবাইলের প্রতি আসক্তির কথা নিজেই জানালেন স্রোতশ্রী।কীভাবে পড়াশোনার মধ্যে মোবাইল প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিল, সেই অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছে। 


বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক।স্রোতশ্রীর ইচ্ছা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার।নিজের ফল জানার পর স্রোতশ্রী বলেছে, মোবাইলের জন্য আমার টেস্টের ফল ভাল হয়নি। তার পর মোবাইল থেকে দূরেই থাকতাম।ভাল লাগছে, আমি ৪৯৯ পেয়েছি পাঁচশোর মধ্যে। 


উচ্চ মাধ্যমিকে কলকাতার ছাত্রছাত্রীরা এবার ভাল ফল করেছে।এ বছর শেষ তিনটি পরীক্ষা না হওয়ায় মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি। 


স্রোতশ্রী ছাড়াও আরও তিন জন পেয়েছে ৪৯৯ নম্বর।তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ার বড়জোরা হাইস্কুলের গৌরব মণ্ডল।বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের অর্পণ মণ্ডল এবং হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ঐকিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। 


ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে গৌরব মণ্ডলের। বাবা সাবেক সেনাকর্মী। ছেলের সাফল্যের খবর শুনে উচ্ছ্বসিত তার মা শিপ্রা দেবীও। ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে গৌরব। 


তার সাফল্যের খবর পেয়ে একের পর এক ফোন আসতে শুরু করেছে গৌরবের কাছে। ফুল-মিষ্টিতে ভরে গেছে ঘর।গৌরব বলল, আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি।মন দিয়ে আগামী দিনে পড়তে চাই।


৪৯৮ নম্বর পেয়েছেন কলকাতার আর এক গৌরব। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে হলেও, বাবা কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তাই এখানে থেকেই পড়াশোনা তাঁর। যোধপুর পার্ক বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র গৌরব মাইতি সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় ভাল ফল করলেও, তারও ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।


নব নালন্দার ছাত্র সৈকত দাস পেয়েছে ৪৯৭ নম্বর। বেহালার আদর্শপল্লির বাসিন্দা সে। এমবিবিএস পাশ করার পর স্ট্যাটিসস্টিক্স নিয়ে পড়তে চায় সে।
 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম